জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মরদেহের সমাধী হলোনা জন্মভিটা ভোলার মাটিতে। তার মরদেহ ভোলায় পাঠালে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন এবং মরদেহ প্রতিহত করবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ভোলা-২ আসনের সংসদ আলী আজম মুকুল। অবশেষে তার চ্যালেঞ্জ-ই বস্তবায়ন ঘটে।
এদিকে আলহাজ্ব আলী আজম মুকুলের নেতৃত্বে বোরহানউদ্দিনের জনগনের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে খুনির মরদেহ ভোলার মাটিতে দাফন না হওয়ায় ভোলার সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে আনন্দ উল্লাস বইছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে আবদুল মাজেদের ফাঁসির কার্যকর করা হয়। একইসঙ্গে ভোলার স্থানীয় জনগন খুনির মরদেহ ভোলার মাটিতে দাফন করতে না দেয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থান নেন। যার ফলে রাত সোয়া ৩টার পর আবদুল মাজেদের চাচা শ্বশুরের তত্ত্বাবধানে পরিবারের সদস্যরা কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মরদেহ শশুর বাড়ির এলাকা নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যান। এবং সেখানে তার দাফনের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে খুনি মাজিদের ফাঁসি কার্যকর ও লাশ ভোলায় না আসায় আনন্দ প্রকাশ করে বোরহানউদ্দিন টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনির লাশ বোরহানউদ্দিনের মাটিতে দাফন করতে পারেনি এতে ভোলার সকল মানুষের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস বইছে। ভোলা ২ আসেনর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই এলাকার প্রথম সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী এলাকায় তার খুনির লাশ দাফান হয়নি এতে খুবই আনন্দিত। একইসঙ্গে অত্র আসনের বর্তমান সংসদ আলী আজম মুকুলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এর আগে গতকাল শনিবার বোরহানউদ্দিনে এক মৌন মিছিল শেষে এমপি আলী আজম মুকুল বলেন, আমরা আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত কারণ আমরা খুনি মাজেদের গ্রেফতারে আনন্দ মিছিল করতে পারিনি। জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) মাজেদের মৃত্যুর পর লাশ যদি ভোলায় পাঠানো হয় করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেও আমরা তাকে প্রতিহত করবো। প্রয়োজনে তার লাশকে ভোলার মাটিতে স্থান না দিয়ে মেঘনায় ভাসিয়ে দেবো।